Breaking

Showing posts with label অন্যান্য. Show all posts
Showing posts with label অন্যান্য. Show all posts

Friday, 8 May 2020

May 08, 2020

যেই কারণে করোনা ভাইরাস নিয়ে চীনের দিকে আংগুল উঠছে

যেই কারণে করোনা ভাইরাস নিয়ে চীনের দিকে আংগুল উঠছে

করোনা ভাইরাস,চীন,ভাইরাস,উহান,করোনা,বাংলা টিভি চ্যনেল,সর্বশেষ,করোনা ভাইরাসের লক্ষণ,বাংলা খবর,সংবাদ,বাংলা,করোনাভাইরাস,করোনা ভাইরাস কি,নিউজ
করোনা ভাইরাস,চীন,ভাইরাস,উহান,করোনা,বাংলা টিভি চ্যনেল,সর্বশেষ,করোনা ভাইরাসের লক্ষণ,বাংলা খবর,সংবাদ,বাংলা,করোনাভাইরাস,করোনা ভাইরাস কি,নিউজ

বর্তমানে আমরা সবাই একটি কঠিন সময় পার করছি।কারনটা আমরা সবাই জানি। সারা প্রিথিবী আজ এই একই কারনে ভুগছে। আমি যখন আপনাদের জন্য ভিডিওটি তৈরু করছি তখন পর্যন্ত সারা প্রিথিবিতে প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত। মৃতের সনখ্যাও লাখ ছাড়িয়েছে। আমরা জানিনা এই সংখ্যা কত লম্বা হতে চলেছে। কবে এর শেষ। কিন্তু আমরা এর শুরুটা সম্পর্কে সবাই জানি। এটি শুরু হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চীনের উইহান প্রদেশে। কিন্তু উইহান আজ প্রায় করোনা সংক্রমন হতে মুক্ত। আর সন্দেহটা দানা বাধছে এইখানেই। বিশ্বের অনেক দেশই মনে করছেন এর পেছনে খোদ চীনেরই হাত রয়েছে। অবশ্য এর যথেষ্ট কারণও রয়েছে। চলু তুলে ধরা কিছু ঘটনা যা আপনাকেও ভাবাতে বাধ্য করবে

১।এই ভাইরাসের উৎপত্তি স্থল চীন আর চীন থেকেই এই ভাইরাস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ল অথচ অবাক করার কথা হলো যে এই ভাইরাস চিনের সাঙ্ঘাই বা বেইজিং প্রদেশে ছড়ালো না?
২।চিনেই ভাইরাস্টি প্রথম ধরা পড়ল অথচ ভাইরাসটিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চিন তেমন কোনো ক্ষতি ছাড়াই নিয়ন্ত্রণ করে ফেলল যখন ভাইরাস সম্বন্ধে কিছুই প্রায় জানা নেই। অথচ আজকে চিনের থেকে অনেক বেশি কিছু জানা সত্বেও
ভাইরাস নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না এখন একবার নিজে নিজে ভাবুন তো আসলে কি এটা সম্ভব? নাকি চিনের কাছে কোনো জাদুর কাঠি আছে??

আরো চমকে যাওয়ার মতো তথ্য যে এখনো বাকি

এই ভাইরাস যেই শহর থেকে ছড়িয়েছে ওখানেই চীনের সর্বাধুনিক ৪র্থ জেনারেশনের ভাইরাস ল্যাব রয়েছে। আরো অবাক করার কথা কি জানেন? এই ভাইরাসের সংক্রম্নের কিছুদিন আগে ২ বার চিন ভাইরাস বিজ্ঞানি নিয়োগের ঘোষনা দিয়েছে এই ল্যাবের জন্য।

৪।এই ভাইরাসের আক্রমনের মাত্র ২ মাস আগে অনেকগুলো মাস্কের কারখানা খুলেছে চিন।এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ডোন পলিমার। যার শেয়ার মুল্য বেড়ে ১৯০ কোটি ডলারে দারিয়েছে। তাহলে চীনারা কি ভবিষ্যৎ জানতো??

৬। আবার যেই মাংসের বাজার থ্রক্র এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সম্প্রতি চীন সরকার সেই মাংসের বাজার খুলে দিয়েছে। যা বিশ্বমহলকে ভাবাতে বাধ্য করছে।

৭।যেই ইটালি চীনকে তার বিপদের সময় বিনামূল্যে পিপিই,মাস্ক সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম বিনামূল্যে সরবরাহ করল সেই ইটালির আজকের এই সংকট মুহূর্তেঙ্গনেক মোটা অংকের টাকা নিয়ে তবেই ইটালিকে পিপিই, মাস্ক দিচ্ছে। যাতে চীনের ব্যবসিক মনোভাব প্রকাশ পায় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
৮।অনেক দেশ চীনের পাঠানো পিপিই,কীট নষ্ট বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে।এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্পেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সহ বেশ কিছু দেশ। যেখানে বাজারে এইসব সরঞ্জামের এত অকাল সেখানে এইসব দেশের এইসব জিনিস ফিরয়ে দেওয়া কি ইঙ্গিত দিচ্ছে? নিশ্চয় কোনো ভালো ইংগিত নয়। আপনারাই বুঝে নিন।

৯। দ্যা এক্সকিউটিভ ডিরেক্টর অফ অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর পিটার জেনিংস স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন এই ভাইরাস চীনের ল্যাব থেকে ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।তাই চীন এটা ছড়ালেও ছড়াতে পারে। তিনি আরো বলেন এই ভাইরাস চীন না ছড়ালেও চীনের কাছে যে ভাইরাস দ্বারা তৈরি অস্ত্র র‍য়েছে সেই ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।

১০। এখন একটা বইয়ের কথায় আসা যাক যা লিখছে চীনের দুইজন সেনা মজর কেয়াওলিয়াং ও ওয়াংশিয়াং জু। যেই বইয়ে বলা হয়েছে কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকিয়ে যুদ্ধ ছাড়াই বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যার সাথে বর্তমান পরিস্থিতির অনেকটাই মিল খুজে পাওয়া যাচ্ছে। তাই সন্দেহটা আরো তীব্র হচ্ছে চীনের দিকে।

তাই সবকিছু মিলিয়ে সন্দেহ যে হওয়ারই কথা এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। আর এত কিছুর কারণেই আঙ্গুল উঠছে চীনের দিকে। আর উঠাটাও কি অস্বাভাবাকি কিছু বলে মনে হয় আপনার।  


Monday, 4 May 2020

May 04, 2020

কেমন হবে করোনার পরের পৃথিবী?


করোনার ভয়ংকর সময়ের একদিন ইতি হবে। কিন্তু তারপর আমরা কি আবার ফিরে পাবো সেই আগের অবস্থা? নাকি পালটে যাবে আমাদের সেই চিরচেনা পৃথিবীটা।কেমন হবে করোনা পরবর্তী পৃথিবী? আমাদের জীবনের কোন জিনিসগুলো পাল্টে দেবে এই করোনা?


www.rohossojal.blogspot.com



নজরদারিঃ করোনা মহামারির পরবর্তীতেও পৃথিবীতে গণনজরদারির এক অন্যরকম পৃথিবীর উদ্ভব হতে পারে।যেখানে নজরদারিতে রাখা হবে আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ। পছন্দ-অপছন্দ, আবেগ-অনূভুতি,ইচ্ছা-অনিচ্ছা। কিন্তু কিভাবে তাই তো?এক্ষেত্রে এগিয়ে চীন,রাশিয়ার মতো সমাজতান্ত্রিক সরাকার দ্বারা পরিচালিত দেশগুলোতে ফেইস শনাক্ত করতে পারে এমন বিশেষ ধরনের ক্যামেরা লাগানো আছে যার মাধ্যমে আপনি কারকার সংস্পর্শে এসেছেন তা নির্ণয় করা যাবে।এছাড়াও করোনা শনাক্তের অজুহাতে আপনার শরীরে লাগানো হতে পারে মাইক্রোচীফ। যার মাধ্যমে আপনার ওপর নজরদারি চালানো সম্ভব হবেজানা যাবে আপনার আবেগ অনুভূতি।এমন কি আপনার পছন্দ অপছন্দ।কিন্তু আপনার হয়তো মনে হচ্ছে আপনি বাইরের কিছু করলে হয়তো সেইটা বুঝতে পারবে কিন্তু আপনার ইচ্ছা কিভাবে বুঝবে তাই তো? কিন্তু এটাও খুব কঠিন কোনো বিষয় নয়। বিশেষভাবে তৈরি করা হতে এলগারিদম যার মাধ্যমে আপনার শরীরের অভ্যান্তরের বিষয়গুলো আপনার থেকে ভালো জানবে এই এলগরিদম। এখন ভাবুন উত্তর কোরিয়র গ্রেট লিডার কিম জন উনের একটি বক্তব্য শুনে আপনার রাগ হলো তার ওপর আর বিষয়টি কিম জন উন জানতে পারলো তাহলে বিষয়টি কেমন হবে?? কিন্তু ভবিষ্যতে হয়তো এইরকমটাই হতে যাচ্ছে।

অর্থনীতিঃ সবার আগে যেই সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে সবাইকে সেটা হলো অর্থনীতি। কারন সারা পৃথিবীজুড়ে থমকে যাবে সকল উন্নয়ন।লাখ লাখ কোটি কোটি মানুষ হারাবে তাদের উপার্জনের ক্ষমতা। অনেক ব্যাবসায়ী হারাবে তার শেষ সম্বল। যার পরিণতিতে অনেকেই চলে যাবে দারিদ্র সীমার নিচে। বিষয়টা কেমন হতে পারে ছোট্ট একটী গল্পের মাধ্যমে কল্পনা করুন। মনে করুন আপনি 5000 হাজার টাকা বেতনের একটা চাকরি করেন। আপনার ছেলে কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে। যার পেছনে আপনার প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। আর মেয়ের পেছনে খরচ হয় ১০০০০ হাজার টাকা।হঠাত করে শুনলেন কাল থেকে আপনার আর চাকরি নেয় বা বেতন অর্ধেক হয়ে গেছে। তাহলে বিষয়টা কেমন হবে? কিন্তু কঠিন হলেও এমনটাই হতে চলেছে হাজারো পরিবারের সাথে। যা পালটে দেবে আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। বেড়ে যাবে চুরি ডাকাতির মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। বৃদ্ধিপাবে নানা রকম অপরাধ মুলক কাজ।


জাতিয়তাবাদঃ এই সময় উত্থান ঘটতে পারে অনেক জাতীয়তাবাদি শক্তির।অর্থাৎ কেউ কাউকে কোনো কিছু দিয়ে সাহায্য করবেনা। যেমন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট‌এবং একলা চলো নীতি এই সংকটের সময় আরও স্পষ্ট হয়েছে। জার্মানির একটি কোম্পানির কাছ থেকে তিনি করোনাভাইরাসের একটি টেস্ট কেবল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কিনে নেয়ার যে চেষ্টা করেছেন, সেটি ইউরোপের সঙ্গে তার সম্পর্কে আরও টানাপোড়েন তৈরি করেছে।যা হতে পারে বিশ্বায়নের জন্য হুমকি। ফলে উত্থান ঘটবে স্বৈরাচারি শাসকের। হ্রাস পাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংখ্যাফলে এখন আপনার যেই স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার রয়েছে সেটা আর নাও থাকতে পারে। ফলে বেড়ে যাবে যুদ্ধ-বিগ্রহের মতো ঘটনা। আর যার ফলে বিপদে পড়বে এমনকি প্রাণ হারাবে কোটি কোটি মানুষ।
পরিবর্তন হবে বিশ্ব নেতৃত্বের।আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে ক্ষমতার মূল কেন্দ্রবিন্দু স্থানান্তরিত হবে এশিয়াতেআর প্রধান নেতৃত্ব দিতে পারে যুক্ত্রাষ্ট্রের জায়গায় চীন। যার প্রভাব ইতোমধ্যেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যুক্ত্রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে চীনের দিকে ঝুকছে। সারা পৃথিবী এই মহামারিকে কেন্দ্র করে দুইটি দলে ভাগ হয়ে যেতে পারে আমেরিকা ও চীনকে কেন্দ্র করে। শুরু হতে পারে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ। যার ফলে মানব অস্তিত্ব পড়তে পারে সংকটে।


যদি এই অবস্থা আরো দীর্ঘ মেয়াদি হয় তাহলে আমাদের মধ্যে থেকে যাবে সন্দেহপ্রবণতা। আর কেউ আগের মতো হয়তো একে অন্যের সাথে হাত মিলাতে পারবোনা আগের মতো এত সহযে। পারবোনা কাধ মেলাতে। একে অন্যের থেকে সর্বদা দূরে যেতে চেষ্টা করবো।এইরকম আরো হাজারো পরিবর্তন দেখা দেবে আমাদের আজকের পৃথিবীটাতে।
তবে বলে রাখি সবটাই অনুমান মাত্র। তাই বিষয়টিকে কেউ এখনি সিরিয়াসলি নিবেন না।

Saturday, 2 May 2020

May 02, 2020

N95 মাস্কের ইতিহাস। কিভাবে এল এই মাস্ক??


 N95  মাস্ক বর্তমানে সবার পরিচিত একটি নাম। বর্তমানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বহু গুনে বেড়ে গেছে এই মাস্কের চাহিদা ও ব্যবহার। বাতাসে থাকা অতি সূক্ষকণাকে ছাকতে পারায় অন্যতম প্রতিরোধকারি সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই মাস্ক।১৯৭২ সালে প্রথম তৈরি করা হয় এই এন ৯৫ মাস্ক।এটি প্রথম তৈরি করেছিল যুক্ত্রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান 3M. কিন্তু কিভাবে তৈরি করা হয়েছিল এই মাস্ক বা তখন কার সময়ে কেন তৈরি করা হয়েছিল তা ্আজকে আপনাদের জনাতে চলেছি।চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই N95 মাস্ক তৈরির ইতিহাস সম্পর্কে।


www.rohossojal.blogspot.com



 ফেইস মাস্ক প্রথম ব্যাবহার করা হয় অনেক আগে।সেই ১৫ শতকের শুরুতে কবর খনন কারি ও মরদেহ নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা দুর্গন্ধ থেকে বাচতে কাপর দিয়ে নাক ঢাকতো।পরে ১৬ শতকের শুরুতে ইউরোপে যখন প্লেগ মহামারি আকার নেয় তখন আক্রান্তদের সেবায় নিয়োজিত ডাক্তাররা একধরনের মাস্ক ব্যবহার করতো।এটি দেখলে হয়তো আপনি এটাকে এখনকার মাস্কের ধারে কাছেও আনতে পারবেন না। কারণ এটি দেখতে পাখির ঠোটের মতো ছিল। যার সামনের দিকে একধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করা হতো। তখন মনে করা হতো দুর্গন্ধ থেকেই মহামারি ছড়ায়।এমন ধারনা থেকেই ব্যবহার করা হতো এই ধরনের মাস্ক।কিন্তু পরবর্তীতে যখন ১৮৭০ সালের শেষের দিকে ব্যকটেরিয়া সম্পর্কে ধারনা লাভ করে তখন বিলুপ্তি ঘটে এই মাস্কের।এরপর ১৮ শতকের শেষ দিকে চিকিৎসায় সারজিক্যাল মাস্কের ব্যবহার শুরু হয়।উদ্দেশ্য অপারেশনের সময় চিকিৎসকের হাচি-কাশির মাধ্যমে যেন রোগীর ক্ষত স্থান কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়প।পরবর্তীতে বাতাসের মাধ্যমে প্লেগ ছড়ায় বিষয়টি নির্ণয় করেন এক চীনা চিকিৎসক ১৯ শতকের শুরুর দিকে।পরে কয়েক স্তরের সুতি কাপড়ের সাহায্যে তিনি এমন একটি মাস্ক তৈরি করেন যেটি সহযেই মুখে আটকে থাকতো। এই মাস্কের সাহায্যেই সেই সময় প্লেগের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হয়।স্প্যানিশ ফ্লু এর সময় ও রক্ষা কবজের মতো কাজ করেছে এই মাস্ক।প্রথম বিশযুদ্ধের সময় গ্যাস মাস্ক আবিষ্কার হলেও অত্যাধিক ওজনের কারনে সেটি তেমন জনপ্রিয়তা পায়না। ১৯৬১ সালে M3 কোম্পানি নতুন একটি মাস্ক তৈরি করেন।প্রথমে এটি বাজারে ছাড়লেও এটি কেবল ধুলোবালি ঠেকেতেই সক্ষম ছিল।১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে খনি দপ্তর ও জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান একবার ব্যবহার করা যায় এমন মাস্কের রেস্পিটরের মানদন্ড ঠিক করেন।সেই মানদন্ড অনুযাইয়ি M3 কোম্পানি পরে বাজারে আনেন N95 মাস্ক। শুরুতে এটি কারখানার জন্য ব্যবহৃত হলেও পরে টেনিসি বিশ্ববিদ্যলয়ের অধ্যপক পিটার সাই N95 মাস্কে ভাইরাস প্রতিরোধি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। এরপর থেকে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার হয়ে আসছে N95 মাস্ক।কিন্তু আপনার মনে প্রশ্ন তো জাগতেই পারে এর নাম এন৯৫ ই কেন হলো? অন্য কিছুও তো হতে পারতো। আসলে এখানে N95 নাম দিয়ে এর কার্যক্ষমতা বোঝানো হয়েছে। এখানে মানে নন র‍্যাজিস্ট্রেন্স টু অয়েল যার মানে এই মাস্কটি শুধু বস্তুকণা প্রতি রোধে অক্ষম। কিন্তু তরল প্রতিরোধে সক্ষম নয়।আর বাতাসে ভাসা ৯৫ শতাংশ কনা ছাকতে পারায় এর নাম হয়েছে 95

n95 mask,what is n95 mask,mask,করোনা ভাইরাস,মাস্ক তৈরির ইতিহাস,one time mask,মাস্কের ইতিহাস,insane masks,diy mask,face mask,the invention of the mask,masks,কোভিট ভাইরাস19,মাস্ক,সর্বশেষ সংবাদ,mask bangla,what is mask,বিশ্ব সংবাদ,diy face mask,create a mask
n95 mask,what is n95 mask,mask,করোনা ভাইরাস,মাস্ক তৈরির ইতিহাস,one time mask,মাস্কের ইতিহাস,insane masks,diy mask,face mask,the invention of the mask,masks,কোভিট ভাইরাস19,মাস্ক,সর্বশেষ সংবাদ,mask bangla,what is mask,বিশ্ব সংবাদ,diy face mask,create a mask

এইভাবেই তৈরি হয় এন৯৫ মাস্ক। যা ভাইরাস প্রতিরোধে সেই সময় থেকে আজকেও করোনা ভাইরাস মোয়াবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। রক্ষা করে আসছে ডাক্তার নার্সসহ অনেক চিকিৎসা কর্মী ও হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে। শুধু ভাইরাস প্রতিরোধেই নয় ব্যাকটেরিয়া বা ধুলোবালি প্রতিরোধেও এই মাস্ক অত্যন্ত কার্যকরী। আর এত গুরুত্ত্বের কারনেই আমাদের এটা তৈরির ইতিহাস সম্পর্কে জানা উচিত। আশা করি আপনি সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও এই মাস্কের উৎপত্তির ইতিহাস সম্পর্কে জেনে গেছেন।

আমাদের লিখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন এতে আমরা পরবর্তীতে লিখার উৎসাহ পায়। ধন্যবাদ।

 



Sunday, 26 April 2020

April 26, 2020

বিনামূল্যে বিক্রি হচ্ছে তেল সাথে দেওয়া হচ্ছে প্রায় ৩৮ ডলার


www.rohossojal.blogspot.com
বিনামূল্যে দিচ্ছে জ্বালানি তেল
 


তেলকে বলা হয়ে থাকে তরল সোনা।কারণ সারা পৃথিবী তেলের ওপর নির্ভর করে চলে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই যার কাছে যত বেশি তেল সে ততই শক্তশালী। আর বাস্তবেও আমরা তাই দেখে এসেছি।যেসব দেশের কাছে যতবেশি তেল তারা তাদের অর্থনীতিকে তত বেশি শক্তিশালী করতে পেরেছে। কিন্তু এখন যখন চারিদিকে অর্থনৈতিক মন্দা তখন সোনা আর লোহা কারো দামেই তফাৎ থাকে না।সবই এক সমান হয়ে যায়। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারনে তেলের অবস্থাও তাই।বরং আরো খারাপ অবস্থা। সারা বিশ্বের সকল কল-কারখানা,গাড়ি-ঘোড়া  সব কিছুই বন্ধ। আর সেই কারনে স্বাভাবিক ভাবেই তেলের চাহিদা অনেক কম।আর তেলের ক্ষেত্রে অন্যান্য  পন্যের মতো ফেলে দেওয়ারও উপায় নেই। আর সেই কারনেই তেল মজুদ করে রাখার জায়গা দিন দিন কমে চলেছে।যার কারনে তেলের জাহাজ বা ওয়েল ট্যাংকারের চাহিদাও বেড়ে গেছে। এই মুহূর্তে ফাঁকা পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে এইসব ওয়েল ট্যাংকার বা তেলের জাহাজ। কারণতারা হয় তেল নিয়ে অপেক্ষা করছে কোনো দেশে খালাসের জন্য না কোথাও রাখার জন্য কারণ তাদের কাছে মজুদ তেলই যে কেউ নিচ্ছেনা।আর নিবেই বা কিভাবে, সবারই তেলের ভাড় যে ভর্তি।আর তাই  সেখানেও খালাসের জায়গা নেই। রয়টার্সের দেওয়া এক তথ্যমতেসারা দুনিয়ায় ৭৭০টি তেলের সুপার ট্যাংকার রয়েছেযার একেকটিতে মজুত করা যায় প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ ব্যারেল তেল।কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রায় এসব তেলের ট্যাংকারের ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ তেল মজুত রাখা হয়েছে।

 এই কারনে আপনাকে এখন আর টাকা দিয়ে তেল কিনতে হবে না। বরং আপনি তেল কিনলে আপনাকে দেওয়া এক্সট্রা টাকা।তাও এক দুই টাকা না প্রায় ৩০০০ টাকা।কি শুনতে অবাক লাগছে? শুনতে অবাক লাগলেও এটাই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সোমবার নজিরবিহীন এই পরিস্থিতির মধ্যে যখন বাজার শেষ হল, তখন ফিউচার মার্কেটে মে মাসে সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল মাইনাস ৩৭.৬৩ ডলার।এর মানে হল, তখন ক্রেতাকে প্রতি ব্যারেল তেলের সঙ্গে এই পরিমাণ অর্থও দিতে রাজি ছিলেন উৎপাদক সংস্থা। চাহিদা না থাকা ও উৎপাদন অব্যাহত থাকায় মে মাসেই তেল মজুদের আর জায়গা থাকবে না বলে আশঙ্কার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের ব্র্যান্ড ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমেডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম মঙ্গলবার ঘুরে দাঁড়িয়ে ইতিবাচক পর্যায়ে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্ব মান সময় ৩টা ৫৬ মিনিটে ৩৯ ডলার পুনরুদ্ধার হয়ে এই তেল ১ দশমিক ৩৭ ডলারে বিক্রি হয়।যদিও তা অনেক কম। কিন্তু মাইনাস থেকে প্লাসে আসতে পেরেছে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে লকডাউনের মধ্যে বিশ্বের বহু দেশের মানুষ এখন ঘরবন্দি থাকায় রাস্তাঘাট সব ফাঁকা, উড়োজাহাজগুলো বসে আছে, কারখানাগুলোও অন্ধকার।আর এই কারণে গত তিন মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা ৩০ শতাংশ কমে গেছে। এখন আপনার মনে হতেই পারে তেল উতপাদন বন্ধ করে দিলেই তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা এত সোজাও নয় কারন একবার তেল কূপ থেকে তেল উৎপাদন শুরু করলে তা আর বন্ধ করার উপায় থাকেনা।কারণ বন্ধ করতে গেলে বড় ক্ষতি হতে পারে তেল কূপের। এমনকি চিরতরে বন্ধ হয়েও যেতে পারে মহামূল্যবান এই তেল কূপ। যার কারনেই বন্ধ করতে পারছেনা এই তেল কূপ গুলো। আর তাই তেল রাখার জায়গারও দেখা দিয়েছে চরম সংকট।তাই আজ গলার কাটা হয়ে বিধেছে এই তেল কূপগুলো।

 

যদি আমাদের লিখা আপনার ভালোলেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন। কারণ আপনাদের পজিটিভ কথা আমাদের লিখতে উৎসাহ যোগায়।ধন্যবাদ।




Monday, 17 February 2020

February 17, 2020

আমার লেখা কিছু কবিতা

আমার লিখা কিছু কবিতা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।



#১।চারিদিকে আজ লাশের মিছিল

পোড়া গন্ধে ভরপুর।
আগুনের লেলিহান শিখা করেছে দগ্ধ
কেড়েছে কারো প্রাণ
হয়েছে অনাথ অনেক শিশু গিয়েছে কারো সন্তান
ফেব্রুয়ারিতে গিয়েছিল রফিক,সালাম,বরকতের প্রাণ
করতে গিয়ে মায়ের ভাষার অধিকার অর্জন


কে জানতো!
১৯ হবে আগুনের লেলিহানে রক্তাত্ত
কেড়ে নেবে প্রাণ ছিয়াত্তর শরীরের
বইয়ে দিবে অশ্রু স্রোতের
কেউবা ছিল মায়ের কুসুমে আসবে বলে পৃথিবীতে
কেউবা পারলোনা প্রিয়জনকে ছেড়ে যেতে

কেউ হয়েছে সর্বহারা,কারো গিয়েছে প্রিয় ভাই
কে বুঝবে প্রিয়জন হারানোর দায়!
আগেও নিয়েছে অনেক প্রাণ,আগুনের এই লেলিহান
হবে না কি? এর সুষ্ঠ সমধান!
আগুনের শিখা বহুবার করেছে উত্তপ্ত
নাকি ফেব্রুয়ারিই রক্তাত্ত!




#২।নির্জীব এই শহরের শুষ্ক তলায়
রেখেছি চরণ গড়িব বলে সুখের আলয়
হয়তো বা পারিব হয়তো বা পারিব না
প্রকৃিতি মায়ের মধুর ছোঁয়া যে ভুলিতে পারিনা

মনে পড়ে সেই কলাবতীর ঘাট আর হড়মের মাঠ
মনে পড়ে সেই বিলের তলার নৌকা,শাপলা ছিল তার সাথ
ছিল ঝিলের লতা আর কচুরির ফুল
আরো ছিল মন জুড়ানো কিচির-মিচির পক্ষীকুল
সবই আজ হ্রদয় কোণে স্মৃতি হয়ে আছে
মন হয়েছে আকুল ফিরে পেতে সব কাছে

যখন পাছিনু কাছে তখন করেছি হেলা
আজ বুঝিনু মায়ের আঁচলের তলে কী যে স্নিগ্ধ মায়া
জানি নাই কোনো লাভ মনে এসব উঠে
আবার তো সেই ছুটতে হবে শুষ্ক শহরের পথে
সময় যে হলো অনেক আবার
তাল মিলাতে হবে যেতে স্বপ্নের দ্বার



#৩।শুষ্ক এ মনের কিনার হতে কেন জানি মনে রঙ লেগেছে
কেন জানি এই হ্রদয় হঠাৎই রঙ্গিন আলোর ঝলকানির পেছনে ছুটছে
মনে হয় হ্রদয়ে বসন্তের রঙ লেগেছে
কিন্তু! এখনো কী আছে সেই বসন্ত?

যখন নতুন পত্রের ছোঁয়ায় কোকিল ডাকিত কুহূ
ফুটিত রঙ-বেরঙের হ্রদয়হরা পুষ্প।
নাকি পুরোটাই আজ রাক্ষসের গোগ্রাসে নিশিহ্ন
নাকি বাকি আছে কিছু লেশ!
যার আভায় এই মন আজ উচ্ছলিত



#৪।আজ নিশী রাতে একলা ঘরে হ্রদয় কোণে
স্মৃতিতে জাগিছে তোমারি চেতনা
এ হ্রদয় যেন বুঝছেইনা
তুমি আর তার হবে না
হ্রদয়ে আজ জাগিছে জিজ্ঞাসা
কেন এসেছিলে অধম হ্রদয় প্রাচীরে
কেনই বা জড়িয়েছিলে গায়ে ভালোলাগার নিল শাড়ি আর লাল টিপ
জানি এই প্রশ্নগুলি আজ ফাঁকা বুলি
কিন্তু মন যে তা বোঝেনা
আজও এই হ্রদয় বলে
তুমি কি কখোনোই আমার ছিলে না!! 🙂



#৫।আজ ফাগুন হাওয়ায় বসন্ত এসেছে যে ধরায়,
আজ এই মন তোমায় শুধু ভালোবাসতে চায়।
আজ বসন্তের আঙিনায়,ফাগুনের দোলায়
কৃষ্ণচূড়াও যে তোমায় চায়।
পুঞ্জিত আম্রমুকুল আর কুহু কুহু কোকিল
তোমারই অপেক্ষায়।
তুমি কি আসবে!
লাগাতে গায়ে ফাগুনের দোলা।
হারিয়ে যেতে ঋতুরাজের সৌন্দর্যের ঝলকে।
নাকি এবারও করবে হতাশ..........🙂



#৬। হে কবিগুরু!!

বাংলা সাহিত্যে রেখেছ তুমি অনন্য অবদান
রচেছ হাজারও মানুষের জীবনের গান
রচেছ প্রেমের কবিতা
যা তোমাকে করেছে চির জয়িতা

আজকের দিনে তুমি জন্মেছিলে
তাইতো আমরা রয়েছি তোমার অপেক্ষায়
যদি ফিরে পায় তোমায়

জানি এ আশা মিথ্যে;
জানি তুমি ফিরবেনা

কিন্তু এ সাহিত্য তোমায় ছাড়া যায়না
তাইতো আমরা রয়েছি অধীর অপেক্ষায়
যদি ফিরে পায় তোমার মতো বিস্ময়



বৈশাখ তোমায় বরণ করব বলে
গাথছি শব্দ চৈত্র সংক্রান্তিতে

বৈশাখ তোমায় বরণ করব বলে
আঁকছি আলপনা শহরের রাজপথে

বৈশাখ তোমার উন্মাদনায়,মুছে দিতে সব গ্লানি
বারিধারাও আজ ঝরছে নির্ঝর জানাতে শুভেচ্ছাখানি
পথ প্রান্তরে চারিদিকে আজ উৎসব রব রব
মহাড়ম্বরে প্রস্তুতি তার বৃদ্ধ-জোয়ানের সব


বৈশাখ তোমার ছোঁয়ায় জাগে শিহরণ
রাত পোহালেই শোভাযাত্রা আর ছায়ানটে হবে গান
বৈশাখ তোমায় সামনে রেখে সেজেছে গঞ্জ-শহর
বাদ যায়নি বৃদ্ধ,যুবা,কিশোরি-কিশোর

বৈশাখ তুমি বাঙ্গালীর উৎসব ,রয়েছ বাঙ্গালীর প্রাণে
তাইতো আজ নিবিড় আয়োজোন তোমার আগমনে

LIKE OUR FACEBOOK PAGE