যেই কারণে করোনা ভাইরাস নিয়ে চীনের দিকে আংগুল উঠছে
করোনা ভাইরাস,চীন,ভাইরাস,উহান,করোনা,বাংলা টিভি চ্যনেল,সর্বশেষ,করোনা ভাইরাসের লক্ষণ,বাংলা খবর,সংবাদ,বাংলা,করোনাভাইরাস,করোনা ভাইরাস কি,নিউজ |
বর্তমানে আমরা সবাই একটি কঠিন সময়
পার করছি।কারনটা আমরা সবাই জানি। সারা প্রিথিবী আজ এই একই কারনে ভুগছে। আমি যখন
আপনাদের জন্য ভিডিওটি তৈরু করছি তখন পর্যন্ত সারা প্রিথিবিতে প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষ
আক্রান্ত। মৃতের সনখ্যাও লাখ ছাড়িয়েছে। আমরা জানিনা এই সংখ্যা কত লম্বা হতে চলেছে।
কবে এর শেষ। কিন্তু আমরা এর শুরুটা সম্পর্কে সবাই জানি। এটি শুরু হয়েছিল গত বছরের
ডিসেম্বর মাসে চীনের উইহান প্রদেশে। কিন্তু উইহান আজ প্রায় করোনা সংক্রমন হতে
মুক্ত। আর সন্দেহটা দানা বাধছে এইখানেই। বিশ্বের অনেক দেশই মনে করছেন এর পেছনে খোদ
চীনেরই হাত রয়েছে। অবশ্য এর যথেষ্ট কারণও রয়েছে। চলু তুলে ধরা কিছু ঘটনা যা
আপনাকেও ভাবাতে বাধ্য করবে
১।এই ভাইরাসের উৎপত্তি স্থল চীন আর চীন থেকেই এই ভাইরাস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ল
অথচ অবাক করার কথা হলো যে এই ভাইরাস চিনের সাঙ্ঘাই বা বেইজিং প্রদেশে ছড়ালো না?
২।চিনেই ভাইরাস্টি প্রথম ধরা পড়ল অথচ ভাইরাসটিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চিন তেমন কোনো
ক্ষতি ছাড়াই নিয়ন্ত্রণ করে ফেলল যখন ভাইরাস সম্বন্ধে কিছুই প্রায় জানা নেই। অথচ
আজকে চিনের থেকে অনেক বেশি কিছু জানা সত্বেও ভাইরাস নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না। এখন একবার নিজে নিজে ভাবুন তো আসলে কি এটা সম্ভব? নাকি চিনের কাছে কোনো জাদুর কাঠি
আছে??
আরো চমকে
যাওয়ার মতো তথ্য যে এখনো বাকি
৩। এই
ভাইরাস যেই শহর থেকে ছড়িয়েছে ওখানেই চীনের সর্বাধুনিক ৪র্থ জেনারেশনের ভাইরাস
ল্যাব রয়েছে। আরো অবাক করার কথা কি জানেন? এই ভাইরাসের সংক্রম্নের কিছুদিন আগে ২
বার চিন ভাইরাস বিজ্ঞানি নিয়োগের ঘোষনা দিয়েছে এই ল্যাবের জন্য।
৪।এই ভাইরাসের
আক্রমনের মাত্র ২ মাস আগে অনেকগুলো মাস্কের কারখানা খুলেছে চিন।এর মধ্যে অন্যতম
একটি হলো ডোন পলিমার। যার শেয়ার মুল্য বেড়ে ১৯০ কোটি ডলারে দারিয়েছে। তাহলে চীনারা
কি ভবিষ্যৎ জানতো??
৬। আবার যেই
মাংসের বাজার থ্রক্র এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সম্প্রতি চীন সরকার
সেই মাংসের বাজার খুলে দিয়েছে। যা বিশ্বমহলকে ভাবাতে বাধ্য করছে।
৭।যেই ইটালি
চীনকে তার বিপদের সময় বিনামূল্যে পিপিই,মাস্ক সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম
বিনামূল্যে সরবরাহ করল সেই ইটালির আজকের এই সংকট মুহূর্তেঙ্গনেক মোটা অংকের টাকা
নিয়ে তবেই ইটালিকে পিপিই, মাস্ক দিচ্ছে। যাতে চীনের ব্যবসিক মনোভাব প্রকাশ পায় তা
বলার অপেক্ষা রাখে না।
৮।অনেক দেশ চীনের পাঠানো পিপিই,কীট নষ্ট বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে।এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে
স্পেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সহ বেশ কিছু দেশ। যেখানে বাজারে এইসব সরঞ্জামের এত
অকাল সেখানে এইসব দেশের এইসব জিনিস ফিরয়ে দেওয়া কি ইঙ্গিত দিচ্ছে? নিশ্চয় কোনো
ভালো ইংগিত নয়। আপনারাই বুঝে নিন।
৯। দ্যা
এক্সকিউটিভ ডিরেক্টর অফ অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর পিটার
জেনিংস স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন এই ভাইরাস চীনের ল্যাব থেকে ছড়ানোর
সম্ভাবনা রয়েছে।তাই চীন এটা ছড়ালেও ছড়াতে পারে। তিনি আরো বলেন এই ভাইরাস চীন না
ছড়ালেও চীনের কাছে যে ভাইরাস দ্বারা তৈরি অস্ত্র রয়েছে সেই ব্যাপারে তিনি
নিশ্চিত।
১০। এখন
একটা বইয়ের কথায় আসা যাক যা লিখছে চীনের দুইজন সেনা মজর কেয়াওলিয়াং ও ওয়াংশিয়াং জু।
যেই বইয়ে বলা হয়েছে কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকিয়ে যুদ্ধ ছাড়াই বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করা
সম্ভব। যার সাথে বর্তমান পরিস্থিতির অনেকটাই মিল খুজে পাওয়া যাচ্ছে। তাই সন্দেহটা
আরো তীব্র হচ্ছে চীনের দিকে।
তাই সবকিছু মিলিয়ে সন্দেহ যে হওয়ারই কথা এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। আর এত কিছুর কারণেই
আঙ্গুল উঠছে চীনের দিকে। আর উঠাটাও কি অস্বাভাবাকি কিছু বলে মনে হয় আপনার।
No comments:
Post a Comment