ব্লগ লিখার সেরা ১০ টি টপিকের আইডিয়া| top 10 high demandable best blogging topic ideas
blogging idea,personal website idea,blogging tips,blogging,ব্লগ idea,topics idea,ব্লগ লিখার আইডিয়া, ব্লগ সাইট,ব্লগ লেখার নিয়ম,ব্লগিং টপিক
আমরা অনেকেই অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য "ব্লগ" বা ওয়েবসাইট খুলতে চায়। আর এর মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই বিশেষ করে যারা beginner তারা বেশি চিন্তায় থাকে যে সে কোন টপিকের ওপর ব্লগ বা ওয়েবসাইটটা খুলবে বা পরবর্তীতে কন্টেন্ট খুজে পাবে কিনা বা কোন টপিক নিয়ে কাজ করা ভাল হবে। অর্থাৎ কোন টপিক নিয়ে লিখালেখি করলে সফল হতে পারবে।তাই সর্বদা বেস্ট টপিকের আইডিয়া খুজে কাজ করতে চায়। আজকের এই লিখাটি শুধুমাত্র বিগিনারদের জন্য যারা "best idea" খুজছেন ব্লগ লিখার জন্য। আসলে আপনি যেই টপিক নিয়েই লিখেন না কেন তা যদি মান সম্মত হয় অর্থাৎ ভিজিটরদের কাছে ভালো লাগে আপনার সফলতা নিশ্চিত। তবে আপনি যেই টপিকগুলো নিয়ে কাজ করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বা দ্রুত সফল হতে পারেন তার "১০টি best ideas" আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
১।টেকনোলজিঃ আপনি টেকনোলোজি রিলেটেড যেকোনো বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারেন। কারণ আমাদের যত দিন যাবে নতুন নতুন সব টেকনোলজি আবিষ্কার হবে যার ব্যবহার সবার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আর এখন ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় ব্যবহার সম্পর্কে জানতে গুগল করতে মানুষ খুব একটা বেশি সময় নেয় না। তাই আপনি যদি টেকনোলজি রিলেটেড কোনো কিছু নিয়ে লিখালেখি করেন তাহলে আপনার মার্কেট যে সর্বদা তুঙ্গে থাকবে তা বলাই যায়। আর সবসময় নতুন জিনিস বাজারে আসতেই থাকবে যার কারণে আপনার কন্টেন্ট খুজে পেতেও খুব একটা অসুবিধা হবেনা।
২।টিউটোরিয়ালঃ আপনি টিউটোরিয়াল নিয়ে কাজ করতে পারেন। কারণ বর্তমান সময়ে যেসব ব্লগসাইটগুলো সফল দেখা যায় তাদের মধ্যে বেশিরভাগই টিউটোরিয়াল নিয়ে কাজ করে।আর সুবিধা হলো আপনি যেই জিনিসগুলো জানেন সেটা আপনার কাছে সিম্পল মনে হলেও অনেকেই সেই বিষয় গুলো জানেনা। তাই আপনি যেই বিষয়গুলো জানেন সেইগুলো নিয়েই লিখা চালিয়ে যেতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি নিশ্চয় একটা ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন। কিন্তু আপনি কি জানেন কত মানুষ এই ফেসবুক পেজ খুলতে পারেনা, যার জন্য তারা গুগলে সার্চ করে থাকে। নিচের ছবিতে খেয়াল করুন facebook page এর মাসে সার্চ ভলিউম হচ্ছে এক হাজার থেকে ১০ হাজার। অর্থাৎ এক মাসে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার মানুষ ফেসবুক পেজ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করে থাকে।আর এটা শুধু মাত্র বাংলাদেশের মানুষ। তাই আপনি যেই সাধারণ বিষয়গুলো জানেন সেইগুলোই অন্যদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
facebook page সংক্রান্ত বিষয়ে মাসিক সার্চ ট্র্যাফিক |
৩।রিভিউঃ আপনি যদি একটা মোবাইল কিনতে চান তাহলে নিশ্চয় আগে খোজ খবর নিয়ে থাকেন কোন ধরনের মোবাইল ভাল, কোন ব্র্যান্ড ভাল, সেটা আপনার বাজেটের মধ্যে আছে কিনা ব্লা ব্লা। এইরকম প্রায় প্রত্যেকটা মানুষই কোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে তার সম্পর্কে খোজ খবর নেই আর সেটা অবশ্যই আমাদের গুগল মামার কাছে থেকেই বেশি নেয়। তাই আপনি চাইলে একটা প্রোডাক্ট রিভিউয়ের জন্য ওয়েবসাইট খুলে ফেলতেই পারেন।সেটা হতে পারে যেকোনো জিনিসের ওপর রিভিউ। যেমন খাবারের রিভিউ, কোনো মোবাইলের রিভিউ,দোকানের রিভিউ যেকোনো কিছু। উদাহরণ হিসেবে নিচের ছবিতে দেখুন আইফোনের রিভিউয়ে শুধু বাংলাদেশে সার্চ ভলিউম কত। শুধু মোবাইল না আপনি ঘড়ি থেকে শুরু করে খাবার বা যেকোনো কিছুর রিভিউ দিতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটে।
রিভিউয়ের মানথলি সার্চ ট্রাফিক |
৪।স্বাস্থ্যঃ কথায় আছে, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আপনি নিশ্চয় স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন। হ্যা, আপনার মতো কোটি কোটি মানুষ আছে যারা স্বাস্থ্য বিষয়ে খুবই সচেতন। আর তাদের অনেকেই গুগল মামার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে থাকে। তাই আপনি ইচ্ছে করলে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয় দিয়ে আপনার সাইটটি সাজাতেই পারেন। আর এতে আপনার যেমন ইনকামের রাস্তা খুলে গেল পাশাপাশি অন্যের উপকারও করলেন।নিচের ছবির দিকে তাকালেই এর চাহিদাটা বুঝতে পারবেন।নতুন করে আর কিছু বলতে হবেনা।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্লগ নিয়ে কাজ করেও ভালো ট্রাফিক পেতে পারেন |
৫।ট্রেন্ডিং টপিকঃ ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে কাজ করতে পারলে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে সফল হওয়া সম্ভব। কারণ যখন যেই বিষয়টা ট্রেন্ডিং থাকে সেই বিষয়ে প্রচুর অনুসন্ধান হয় গুগল মামার কাছে আর হবেই না কেন মানুষ যে সর্বদা কৌতূহল প্রিয়। যখন যেই বিষয় চলমান সেই বিষয়টা সবার আগে ও সঠিক তথ্যা জানতে চায়। আর এক্ষেত্রে তো গুগল মামার বিকল্প নেই। তাই আপনি ট্রেন্ডিং বিষয় নিয়েও আপনার ওয়েবসাইটটিতে লেখালিখি করতে পারবেন। উদাহরণ স্বরূপ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ট্রেন্ডীং বিষয় হচ্ছে করোনা ভাইরাস। আর সার্চ ভলিউম হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ পর্যন্ত। মানে বুঝতেই পারছেন কি পরিমানে সার্চ হয়। এই রকম প্রতিটি বিষয় নিয়েই সার্চ হয়। তাই আপনি ইচ্ছে করলে এই বিষয় নিয়ে কাজ করতেই পারেন।
ট্রন্ডিং টপিক হতে পারে নিশ ব্লগের জন্য একটা বেস্ট আইডিয়া |
৬। গল্পঃ আপনি যদি ভালো গল্প লিখতে পারেন তাহলে আপনি সেইটা নিয়েও আপনার ওয়েবসাইটে লেখালেখি করতে পারেন। অনলাইনে কিন্তু গল্পের চাহিদাও কম নয়। সেটা হতে পারে যেকোনো ধরনের গল্প।রোমান্টিক থেকে দুঃখের, ব্যাক্তিগত থেকে কাল্পনিক যেকোনো ধরনের।
blogging idea,personal website idea,blogging tips,blogging,ব্লগ idea,topics idea,ব্লগ লিখার আইডিয়া, ব্লগ সাইট,ব্লগ লেখার নিয়ম,ব্লগিং টপিক |
৭। রাজনিতিঃ রাজনীতি নিয়ে মানুষের কৌতূহল সবসময়ই থাকে আর থাকবেই না বা কেন রাজনীতির মাধ্যমেই তো দেশের ভবিষ্যৎ ঠিক হয়। আর এর খোজ খবর আরো বেড়ে যায় যখন নির্বাচনের সময় আসে। তাই আপনি ইচ্ছে করলে এই টপিক নিয়েও কাজ করতে পারেন।
৮। ইতিহাসঃ ইতিহাস নিয়ে আগ্রহ নেই এমন মানুষ খুজে পাওয়া ভার। আর আপনার যদি ইতিহাস বিষয়ে ভালো ধারণা থাকে তাহলে এটি নিয়েও কাজ করা কিন্তু আপনার জন্য একটা দারুণ সুযোগ রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে এর সার্চ ভলিউম কেমন হতে পারে তার একটা উদাহরণ দিলাম।
|
৯।ফানি গল্প বা জোকসঃ মন খারাপের একমাত্র ওষুধ বা মনের খোরাক যোগানোর জন্য মনকে খুশি রাখার বিকল্প নাই। আর মনকে খুশি রাখার জন্য ফানি গল্প বা জোকস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মারকেটে এর চাহিদাও অনেক। তাই আপনি যদি কাউকে হাসানোর মাধ্যমে ইনকাম অরতে চান তাহলে এই আইডিয়াটা আপনার জন্য বেস্ট।
blogging idea,personal website idea,blogging tips,blogging,ব্লগ idea,topics idea,ব্লগ লিখার আইডিয়া, ব্লগ সাইট,ব্লগ লেখার নিয়ম,ব্লগিং টপিক |
১০। ভ্রমণঃ আমরা অনেকেই আছি যারা ঘুরতে পছন্দ করি।আর তাদের জন্য এইটা হতে পারে ব্লগ লিখার একটা সেরা আইডিয়া। কারণ এইখানে আপনাকে কষ্ট করে আর মাথা খাটাটে হবেনা। শুধু আপনার ঘরতে যাওয়ার স্থানের বর্ণনা,অভিজ্ঞতা এইসব বর্ণনা করলেই চলবে। তাই আপনি একজন ভ্রুমণপিপাসু মানুষ হলে আজকে থেকেই ভ্রুমণ সগক্রান্ত একটি ওয়েবসাইট খুলে ফেলুন।